ডিপ্লোমা ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যারিয়ার উচ্চ শিক্ষা পেশাগত দায়িত্ব।প্রকৃতপক্ষে একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার একজন মাল্টিটাস্কার – ক্রমাগত ডিটেইল মডেল তৈরি করা, তাদের বাস্তবায়ন, পরীক্ষা করা এবং এমনকি সবকিছু ঠিকঠাক চলছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হয় তাদের।
ডিপ্লোমা ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যারিয়ার উচ্চ শিক্ষা পেশাগত দায়িত্ব
সুতরাং যদি আপনার টেকনিক্যাল বিশদের ক্ষেত্রে আগ্রহ থাকে এবং কাজ করতে আপনি পছন্দ করেন তবে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর জন্য আপনি উপযুক্ত।
ডিপ্লোমা ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বর্তমানে আমাদের দেশে শিক্ষিত বেকারদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কলেজ ভার্সিটি থেকে উচ্চ শিক্ষা নিয়ে অনেকেই বেকার বসে আছেন। গতানুগতিক পড়াশুনার বাইরে যারা চান গ্রাজুয়েশনের পর দ্রুত কর্মজীবনে প্রবেশ করতে তাদের জন্য ডিপ্লোমা ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং খুবই আকর্ষনীয় একটি প্লাটফর্ম। আমাদের মত শিল্পায়ননির্ভর দেশে কারিগরি ক্ষেত্রে ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মসংস্থানের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। S.S.C পরীক্ষার পর পরই বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি পলিটেকনিকে ডিপ্লোমাতে ভর্তির সুযোগ রয়েছে।
আরো দেখুন
ডিপ্লোমা ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংঃ ক্যারিয়ার, উচ্চ শিক্ষা, পেশাগত দায়িত্ব
গ্রাফিক্স ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ারিংঃ ক্যারিয়ার, উচ্চ শিক্ষা, পেশাগত দায়িত্ব
ডিপ্লোমা মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিংঃ ক্যারিয়ার, উচ্চ শিক্ষা, পেশাগত দায়িত্ব
ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যারিয়ার
সরকারি প্রতিষ্ঠানে সাধারণত বিদ্যুৎ উৎপাদন, পরিবেশন বা সংরক্ষণ বিভাগে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে আপনার ক্যারিয়ার শুরু হবে। সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রধান প্রকৌশলী পর্যন্ত হওয়া সম্ভব।
শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সহকারী প্রকৌশলী থেকে ম্যানেজার কিংবা জেনারেল ম্যানেজার, হেড অফ অপারেশনস পর্যন্ত হতে পারেন।
সামরিক বাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরে সরাসরি মেজর পদে নিয়োগ দেয়া হয়, যা থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের প্রধান মেজর জেনারেল পর্যন্ত পদোন্নতি পাওয়া সম্ভব।
ডিপ্লোমা ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কোথায় করবেন
সারা দেশ জুড়ে ৪৯ টি সরকারি প্রতিষ্ঠানে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং–এ ডিপ্লোমা করার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া সিটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সহ আরও কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ডিপ্লোমা করা যায়।
ভর্তির যোগ্যতা
ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ডিপ্লোমার চার বছর মেয়াদি আট সেমিস্টারের এই কোর্সে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার পর যে কোন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া সম্ভব। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড নীতিমালা প্রণয়ন করে থাকে।
ডিপ্লোমা ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর মান
ডিপ্লোমা ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সটির মান HSC সার্টিফিকেটের তুলনায় বেশি, তবে একই বিষয়ের বিএসসি ডিগ্রির তুলনায় কম। ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং হল বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রবেশিকা স্তর।
বিএসসি ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
একজন ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার ডিপ্লোমা কোর্সের পর EEE টেকনোলজিতে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করতে পারেন। এজন্য DUET (Dhaka University of Engineering & Technology), SUST (সিলেট), JUST(যশোর), RSTU (রাজশাহী) এর মত বেশ কিছু সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সুযোগ রয়েছে। এছাড়া AMIE (Associate Member of the Institution of Engineers) ডিগ্রীসহ বিদেশে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগও তাদের রয়েছে।
ডিপ্লোমা ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যারিয়ার উচ্চ শিক্ষা পেশাগত দায়িত্ব

একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের দায়িত্ব
ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং হল ইঞ্জিনিয়ারিং এর এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে সাধারণত ইলেক্ট্রিসিটি, ইলেক্ট্রনিক্স ও ইলেক্ট্রম্যাগনেটিজমের বিদ্যা এবং প্রয়োগ নিয়ে দক্ষতা অর্জন করা হয়।
- একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি এবং কন্ট্রোল সিস্টেমের নকশা, উন্নয়ন এবং রক্ষণাবেক্ষণ করেন। তারা শুধুমাত্র মানের উপরেই ফোকাস করেন না, পণ্য এবং সিস্টেম টেকসই কিনা তাও নিশ্চিত করেন।
- একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার অফিস, ল্যাবস, এমনকি শিল্পকারখানাগুলোতে বৈদ্যুতিক পাওয়ার সিস্টেম থেকে শুরু করে সিগন্যাল প্রসেসিং, কম্যুনিকেশন সিস্টেমে কাজ করতে পারেন।
আরো দেখুন
ডিপ্লোমা আর্কিটেকচার ইঞ্জিনিয়ারিংঃ ক্যারিয়ার, উচ্চ শিক্ষা, পেশাগত দায়িত্ব
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংঃ ক্যারিয়ার, উচ্চ শিক্ষা, পেশাগত দায়িত্ব
ডিপ্লোমা এনভায়রনমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিংঃ ক্যারিয়ার, উচ্চ শিক্ষা, পেশাগত দায়িত্ব
ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মক্ষেত্র
- বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান যেমন- PDB, DESCO, BWBD, পল্লী বিদ্যুৎ, শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র, বিভিন্ন সরকারি মিল এবং ফ্যাক্টরি, Operation and Circuit Oriented কোম্পাণীগুলোতে।
- দেশের বাইরে সুপারভাইজার অথবা হেড ইলেক্ট্রিশিয়ান হিসেবেও কাজের সুযোগ আছে।
- অ্যাসিস্ট্যান্ট বা সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে সৌরবিদ্যুৎ কোম্পানি, হাউজিং কোম্পানি, Circuit-Oriented কোম্পানি, প্রাইভেট পাওয়ার প্রোডাকশন কোম্পানি, ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেক্ট্রনিক সামগ্রীর প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে।
- শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে।
- ইন্সট্রাকটর হিসেবে সরকারি এবং বেসরকারি পলিটেকনিক কলেজগুলোতে।
- মোবাইলফোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে।
ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের আয়
ডিপ্লোমা শেষে একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ২য় শ্রেণির গ্যাজেটেড কর্মকর্তা হিসেবে তিতাস, ডেসকোর মত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে যোগ দিলে তার আয় হতে পারে ৩০,০০০-৫০,০০০ টাকা। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে এন্ট্রি লেভেলে আয় শুরু হয় ১৫-২০ হাজার টাকা থেকে। তবে বিভিন্ন কোম্পানি ভেদে আয় কম বেশি হয়।
আর যাদের অভিজ্ঞতা এবং বিশেষ প্রশিক্ষণ আছে সেই সব ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের আয় বেসরকারি খাতে এবং কন্সালটেন্সিতে বেশ ভালো হয়ে থাকে।
ডি ইঞ্জিনিয়ার্স নিউজ এর পোর্টালে ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সকল আপডেট সবার আগে পেতে আমাদের নিউজ পোর্টাল ভিজিট করুন এবং ফেসবুক পেজে লাইক/ফলো দিয়ে রাখুন।
2 comments
Pingback: ডিপ্লোমা ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংঃ ক্যারিয়ার, উচ্চ শিক্ষা, পেশাগত দায়িত্ব -
Pingback: ডিপ্লোমা মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিংঃ ক্যারিয়ার, উচ্চ শিক্ষা, পেশাগত দায়িত্ব -