চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। চট্টগ্রাম শহর থেকে ২৫ কিমি দূরে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই মহাসড়কের পাশে রাউজান উপজেলায় ১৬৩ একর জমির উপর এটি প্রতিষ্ঠিত। এটি বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সরকারী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)
এর পূর্বতন নাম ছিল বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (বিআইটি), চট্টগ্রাম এবং তার পূর্বে চট্টগ্রাম প্রকৌশল কলেজ। প্রায় সাড়ে চার হাজার শিক্ষার্থী এখানে প্রকৌশল, স্থাপত্য, নগর পরিকল্পনা ও বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়াশোনা করেন।
প্রাক্তন নামসমূহ: | চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি, চট্টগ্রাম। |
ধরনঃ | প্রকৌশল, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় |
স্থাপিতঃ | ১৯৬৮: প্রকৌশল কলেজ, চট্টগ্রাম ১৯৮৬: বাংলাদেশ ইন্সটিটউট অফ টেকনোলজি, চট্টগ্রাম ২০০৩: চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় |
উপাচার্য :
আচার্য: |
মোহাম্মদ রফিকুল আলম
রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গঃ | ২০০+ |
শিক্ষার্থীঃ | ৪৫০০ |
স্নাতকঃ | ৩৭০০ |
অবস্থানঃ |
পাহাড়তলী, রাউজান উপজেলা, চট্টগ্রাম, ৪৩৪৯, বাংলাদেশ ২২.৪৫৯৮৭৬° উত্তর ৯১.৯৭১১৫৪° পূর্ব |
শিক্ষাঙ্গনঃ | শহরের উপকন্ঠে, ১৬৯ একর (০.৬৬ বর্গ কি.মি.) |
রঙসমূহঃ | সাদা |
মাসকটঃ | Industrial Building |
ওয়েবসাইটঃ | www.cuet.ac.bd |
আরো দেখুন
ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর ( DUET)
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস
চট্টগ্রামে একটি প্রকৌশল শিক্ষালয় প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যে ২৮ ডিসেম্বর,১৯৬৮ সালে ‘চট্টগ্রাম প্রকৌশল কলেজ’ নামে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের অধীনে এটি যাত্রা শুরু করে। ভর্তি শুরু হয় ১৯৬৮-৬৯ শিক্ষাবর্ষ হতে।১লা জুলাই ১৯৮৬ সালে এটি বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি,(বিআইটি) চট্টগ্রাম রুপে উন্নীত করা হয়। পরবর্তীতে ১লা সেপ্টেম্বর, ২০০৩ সালে একটি সরকারী অধ্যাদেশের মাধ্যমে এটিকে পূর্ণাঙ্গ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা দেয়া হয়।
এছাড়া বিআইটি ঢাকা, বিআইটি খুলনা ও বিআইটি রাজশাহী নামে আরো ৩টি ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি ছিল যেগুলি পরবর্তিতে যথাক্রমে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তে রূপান্তর করা হয়।
১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে চুয়েটের তারেক হুদা এবং মোঃ শাহ নামের ২ জন ছাত্র শহীদ হন। তাদের নামে বর্তমানে ছাত্রদের দুটি আবাসিক হলের নামকরণ করা হয়েছে- শহীদ মোহাম্মদ শাহ হল এবং শহীদ তারেক হুদা হল।
অবস্থান
চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম জেলায় অবস্থিত। এটি ‘রাউজান’ উপজেলার ‘পাহাড়তলি’ ইউনিয়নে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই মহাসড়কের পাশে অবস্থিত। ২১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন রাউজান তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র চুয়েট ক্যাম্পাসের কাছেই অবস্থিত। এটি কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে প্রায় ১৬ কিলোমটার দূরে ও বহদ্দারহাট বাস স্ট্যান্ড থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
বিস্তারিত দেখুন গুগল ম্যাপে
যোগাযোগের ঠিকানা হল-
- চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)
- চট্টগ্রাম – ৪৩৪৯, বাংলাদেশ
- যোগাযোগ : +880-31-714946, +880-31-714911
- ফ্যাক্স: +88-0302556151, +880-31-714910
- ইমেইল : registrar@cuet.ac.bd, iict@cuet.ac.bd
- ওয়েবসাইট : www.cuet.ac.bd
আরো দেখুন
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট)
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-(পাবিপ্রবি)
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-(JUST)
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অনুষদ এবং বিভাগ সমূহ
চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এ বর্তমানে ৫ টি অনুষদের অধীনে ১৩ টি বিভাগ রয়েছে।
অনুষদের নাম | বিভাগ সমূহ | স্নাতক শ্রেণীতে আসনসংখ্যা |
তড়িৎ এবং কম্পিউটার প্রকৌশল অনুষদ |
|
|
পুরকৌশল অনুষদ |
|
|
যন্ত্র প্রকৌশল অনুষদ |
|
|
প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ |
|
|
স্থাপত্য এবং পরিকল্পনা অনুষদ |
|
|
ক্যাম্পাস
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মণ্ডিত চুয়েট ক্যাম্পাস ১৬৯ একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বিভিন্ন অনুষদের জন্য আলাদা ভবন, প্রশাসনিক ভবন, অডিটোরিয়াম, লাইব্রেরি ভবন, ওয়ার্কশপ, গবেষণাগার, ছাত্র/ছাত্রী নিবাস, শিক্ষকদের কোয়ার্টার, ক্যান্টিন, শহীদ মিনার, সোনালি ব্যাংকের শাখা, পোস্ট অফিস, মসজিদ, কনফেকশনারি, মেডিকেল সেন্টার রয়েছে। ক্যাম্পাস এলাকার ভেতরেই রয়েছে একটি প্রাকৃতিক হ্রদ, কয়েকটি পাহাড় ও নানান ধরনের গাছগাছালি। ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে একটি সুবিশাল মাঠ রয়েছে। ক্যাম্পাসে ছেলে শিক্ষার্থীদের জন্য ৫ টি হল এবং মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য ১ টি হল (আরেকটি হল নির্মাণাধীন) রয়েছে। এছাড়াও ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ইলেক্ট্রিকাল সাবস্টেশন রয়েছে।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার
প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের উদ্দেশ্যে চুয়েটে একটি মেডিকেল সেন্টার রয়েছে। এটি ২০ শয্যাবিশিষ্ট। প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক এখানে চিকিৎসা কার্যে নিয়োজিত আছেন। গুরুতর রোগীদের মেডিকেল সেন্টারের নিজস্ব এ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে বড় হাস্পাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মিলনায়তন
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ৫০০ আসনের একটি কেন্দ্রীয় মিলনায়তন কমপ্লেক্স রয়েছে। এতে আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা বিদ্যমান। বছরের বিভিন্ন সময়ে মিলনায়তনে বিভিন্ন সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মেলা, চলচ্চিত্র উৎসব ইত্যাদির আয়োজন করা হয়ে থাকে।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরী
বিশ্ববিদ্যালয়ের দোতলা গোলাকার লাইব্রেরি ভবনটি ক্যাম্পাসের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। লাইব্রেরিতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে একসাথে প্রায় ২০০ জন শিক্ষার্থীর একসাথে অধ্যয়ন করার ব্যবস্থা আছে। চুয়েট লাইব্রেরিতে রেফারেন্স ও জার্নালের একটি বিশাল সংগ্রহ রয়েছে। লাইব্রেরী কার্ডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এখান থেকে বই নিতে পারে। প্রতিদিন ৫টি ভিন্ন দৈনিক পত্রিকা রাখা হয়। এছাড়া বেশ কিছু ম্যাগাজিনের নিয়মিত সকল সংস্করণ রাখা হয়।এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য ফটওস্ট্যাট করার ব্যবস্থা আছে। শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের জন্য এখানে ইন্টারনেট সংযোগ সহ পর্যাপ্ত সংখ্যক কম্পিউটার রয়েছে।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি
চুয়েটে স্নাতক শ্রেণীতে লেভেল -১ টার্ম-১ এ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয় । ভর্তির শিক্ষার্থী বাছাই একটি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে করা হয়। সাধারণত অক্টোবর বা নভেম্বর মাসে ভর্তি ফর্ম প্রকাশ হয়। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও ইংরেজিতে একটি ন্যূনতম গ্রেড পয়েন্ট থাকলে একজন ভর্তিচ্ছুক ফর্ম সংগ্রহ করতে পারে। ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদানের জন্য উল্লেখিত ৪টি বিষয়ে সর্বোচ্চ গ্রেডপয়েন্ট অনুসারে প্রথম ১০০০০ জনের একটি তালিকা(শর্টলিস্ট) প্রকাশ করা হয়। এই ১০০০০ জন পরীক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয় এবং তাদের মধ্য থেকে মেধাতালিকার প্রথম ৮৩০ জন কে ভর্তি করানো হয়।
১০০০০ তম শিক্ষার্থীর সমান জিপিএ প্রাপ্ত সকলকে ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হয় এবং শর্টলিস্টে অনির্বাচিত শিক্ষার্থীদের আবেদন ফি ফেরত দেওয়া হয় প্রসেসিং ফি বাদ দিয়ে। “ক” ও “খ” এই দুটি বিভাগে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। শুধু প্রকৌশল বিভাগসমূহ ও নগর পরিকল্পনা বিভাগের জন্য “ক” বিভাগে এবং প্রকৌশল বিভাগসমূহ, নগর পরিকল্পনা ও স্থাপত্য বিভাগের জন্য “খ” বিভাগে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। “ক” বিভাগের পরীক্ষা লিখিত পদ্ধতিতে নেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া “খ” বিভাগের ভর্তিচ্ছুদের ২ ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠেয় মুক্তহস্ত অঙ্কন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক হলসমূহ
হলের নাম | প্রভোস্ট | আসনসংখ্যা |
শহীদ মোঃ শাহ হল (সাউথ হল) | ড. মুহাম্মদ আবদুল ওয়াজেদ | ৪১৫ |
ডঃ কুদরত-ই-খুদা হল | ড. শামসুল আরেফিন | ৪৩৩ |
শহীদ তারেক হূদা হল (নর্থ হল) | ড. আবদুর রশীদ | ৩৭৬ |
সুফিয়া কামাল হল (মহিলা হল) | ড. রণজিৎ কুমার সূত্রধর | ২০০ |
বঙ্গবন্ধু হল | ড. দেলোয়ার হোসেন | ৫৭২ |
শেখ রাসেল হল | ড. কামরুল ইসলাম | ৪০০ |
ছাত্র সংগঠন সমূহ
- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল
- বাংলাদেশ ছাত্রলীগ
- বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন
- সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট
- বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা
- বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ইত্যাদি।
ডি ইঞ্জিনিয়ার্স নিউজ এর পোর্টালে ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সকল আপডেট সবার আগে পেতে আমাদের নিউজ পোর্টাল ভিজিট করুন এবং ফেসবুক পেজে লাইক/ফলো দিয়ে রাখুন।