খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) বাংলাদেশের একটি সরকারি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের খুলনা বিভাগের খুলনা জেলায় অবস্থিত। পূর্বে এর নাম ছিল বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি, খুলনা ও তারও আগে, খুলনা প্রকৌশল মহাবিদ্যালয়। এটি বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অন্যতম। এখানে প্রায় ৬ হাজার জন ছাত্রছাত্রী স্নাতক ও স্নাতকোত্তর প্রকৌশল ও বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করছে।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)
কুয়েট ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার পাশাপাশি উচ্চ মানের মৌলিক বিজ্ঞানের উচ্চতর শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়নমূলক কর্মসূচির জন্য সুপরিচিত। বর্তমান চাহিদা অনুযায়ী উন্নত মানসম্মত শিক্ষা ও গবেষণা পরিচালনার মাধ্যমে উৎকর্ষতা অর্জনের একটি সুস্পষ্ট লক্ষ্য কুয়েটের রয়েছে, যাতে বাংলাদেশ এবং দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে অগ্রগতির কেন্দ্রে পরিণত করা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়টির অঙ্গন সম্প্রসারণে নতুন কিছু ভবন তৈরি করা হয়েছে যেমন- একাডেমিক ভবন, অডিটোরিয়াম কমপ্লেক্স, ছাত্রাবাস, গ্রন্থাগার, শিক্ষক ডরমিটরি ভবন ইত্যাদি এবং আরও কিছু ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে।
প্রাক্তন নামসমূহ: | বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি (১৯৮৬-২০০৩), খুলনা প্রকৌশল কলেজ (১৯৬৭-১৯৮৬)। |
ধরনঃ | সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় |
স্থাপিতঃ | ১৯৬৭, বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে ২০০৩। |
উপাচার্য :
আচার্য: |
অধ্যাপক ড. কাজী সাজ্জাদ
রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গঃ | ৩৫৬ |
শিক্ষার্থীঃ | ৫৯৩৪ |
স্নাতকঃ | ৪৮৩৮ |
অবস্থানঃ |
ফুলবাড়িগেট, খুলনা-যশোর মহাসড়ক, খুলনা, বাংলাদেশ। |
শিক্ষাঙ্গনঃ | ১১৭.৩৫ একর |
নীতিবাক্য: | প্রভু! আমায় জ্ঞান দাও |
সংক্ষিপ্ত নাম: | কুয়েট |
ওয়েবসাইটঃ | kuet.ac.bd |
আরো দেখুন
ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর ( DUET)
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস
বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) অন্যতম । কুয়েট খুব উচ্চ মানের শিক্ষা, প্রকৌশল পাশাপাশি মৌলিক বিজ্ঞানের প্রধান শাখাসমূহ গবেষণা ও উন্নয়নমূলক কর্মসূচীর জন্য ভালোভাবে পরিচিত। দেশের এবং বিশেষ করে দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের বর্তমান চাহিদা একটি মানসম্পন্ন শিক্ষা, গবেষণা এবং অগ্রগতি অর্জন কুয়েট এর মূল উদ্দেশ্য যা এটাকে ” শ্রেষ্ঠ কেন্দ্র” হিসাবে গড়ে তুলেছে। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ১৯৬৭ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রকৌশল অনুষদের অধীনে খুলনা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নির্দেশে প্রতিষ্ঠানটি তার অভীষ্ট যাত্রা শুরু করে ৩রা জুন ১৯৭৪ সালে।পরে ভাল একাডেমিক এবং গবেষণা ক্ষমতা এবং পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য, এটি একটি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান থেকে রূপান্তরিত করে ১৯৮৪ সালে রাখা হয় বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (বিআইটি),খুলনা। একাডেমিক এবং গবেষণার ক্ষেত্রে যুগের চাহিদা মেটানোর জন্য ১ সেপ্টেম্বর ২০০৩ সালে বিআইটি থেকে উন্নীত করে এবং নাম পরিবর্তিত করে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় রাখা হয়।
অবস্থান
এটি বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের খুলনা বিভাগের খুলনা জেলায় অবস্থিত।বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস খুলনা শহর থেকে ১৪ কি.মি. উত্তরে, খুলনা-যশোর মহাসড়কের পাশে ফুলবাড়ীগেটে অবস্থিত।
বিস্তারিত দেখুন গুগল ম্যাপে
যোগাযোগের ঠিকানা হল-
- খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)
- খুলনা-৯২০৩, বাংলাদেশ
- যোগাযোগ : (+880 41) 2870038
- ইমেইল : registrar@kuet.ac.bd
- ওয়েবসাইট : kuet.ac.bd
আরো দেখুন
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট)
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-(পাবিপ্রবি)
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-(JUST)
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অনুষদ এবং বিভাগ সমূহ
পুরকৌশল অনুষদ | তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক অনুষদ | যন্ত্রকৌশল অনুষদ |
১.পুরকৌশল বিভাগ | ১.তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগ | ১.যন্ত্রকৌশল বিভাগ |
২.নগর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনা বিভাগ | ২.কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ | ২.শিল্প প্রকৌশল ও ব্যবস্থাপনা বিভাগ |
৩.ভবন প্রকৌশল ও নির্মাণ ব্যবস্থাপনা বিভাগ | ৩.ইলেক্ট্রনিক্স ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশল বিভাগ | ৩.লেদার প্রকৌশল বিভাগ |
৪.স্থাপত্য বিভাগ | ৪.বায়োমেডিকেল প্রকৌশল বিভাগ | ৪.টেক্সটাইল প্রকৌশল বিভাগ |
৫.গণিত বিভাগ | ৫.ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স ও প্রকৌশল বিভাগ | ৫.শক্তি বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ |
৬.রসায়ন বিভাগ | ৬.রসায়ন প্রকৌশল বিভাগ | |
৭.পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ | ৭.তড়িৎযন্ত্র প্রকৌশল বিভাগ | |
৮.মানবিক বিভাগ |
ক্যাম্পাস
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের তৃতীয় বৃহত্তম বিভাগীয় শহর খুলনার উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের ফুলবাড়িগেটে অবস্থিত।
ক্যাম্পাস খুলনা সিটির জিরো পয়েন্ট থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ক্যাম্পাস থেকে শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব ভালো । এটা জিলা বাস টার্মিনাল হতে ১২ কিলোমিটার দূরে এবং খুলনা রেলওয়ে হতে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটা ১০১ একর জায়গার উপরে অবস্থিত ।
মূল একাডেমিক ভবনে বিভিন্ন শিক্ষা ও গবেষণা সুবিধা আছে। প্রত্যেক বিভাগের একটি আলাদা চত্বর আছে। এরকম আলাদা কতগুলো চত্বর মিলে ক্যাম্পাসের মূল একাডেমিক চত্বরটি গঠিত। হেভি প্রকৌশল ল্যাবরেটরি নিচের তলা বা অন্য পৃথক ওয়ার্কশপ এর মধ্যে অবস্থিত আছে যদিও লাইট ল্যাবরেটরিজ, শ্রেণী এবং প্রকল্প কক্ষ উপরের তলার উপর অবস্থিত।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার
কুয়েটে শিক্ষার্থীসহ সকলের সেবার জন্য একটি চিকিৎসাকেন্দ্র (কুয়েট মেডিকেল সেন্টার) রয়েছে । এখানে দিন অথবা রাত সার্বৎক্ষনিক সেবা প্রদানের জন্য ৮ জন চিকিৎসক,২ জন নার্স রয়েছেন। এখানে শিক্ষার্থীদের বিনা খরচে চিকিৎসা প্রদানের সাথেসাথে বিনা খরচে ঔষধ ও দেয়া হয়। এছাড়া কুয়েট মেডিকেল সেন্টার এখন অটোমেশন পদ্ধতির আওতায় চলে গেছে । কুয়েটের সকল সদস্যের নিজস্ব তথ্যের সাথে কুয়েট মেডিকেল সেন্টারেরও সকল প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যায়। সম্প্রতি কুয়েটে ৫০ শয্যা বিশিষ্ঠ মেডিকেল সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়।
প্রকৌশল পরীক্ষাগার
কুয়েটে ৪০ টি প্রকৌশল পরীক্ষাগার রয়েছে যা নিজ নিজ একাডেমিক বিভাগের দ্বারা চালিত হয়।
ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাবস বৈদ্যুতিক সার্কিট ল্যাব, পরিমাপ, এবং যন্ত্রানুষঙ্গের ল্যাব, ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স ল্যাব, এনালগ ইলেকট্রনিক্স ল্যাব, মেশিন ল্যাব ইলেকট্রিক্যাল, কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাব, কন্ট্রোল ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাব, Microprocessor এবং হার্ডওয়্যার পোশাকের ল্যাব, পাওয়ার ইলেকট্রনিক্স ও মেশিনের ড্রাইভ ল্যাব (PEMD ল্যাব) অন্তর্ভুক্ত, পাওয়ার সিস্টেম এবং সুরক্ষা ল্যাব, উচ্চ ভোল্টেজ ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাব, প্যাটার্ন রেকগনিশন এবং চিত্র প্রসেসিং ল্যাব, কমপিউটার ভাষা সিমুলেশন এবং সংখ্যাসূচক প্রসেসিং ল্যাব এবং একটি বিভাগীয় কম্পিউটার কেন্দ্র।
পুরকৌশল ল্যাবস পরিবহন ল্যাব, ল্যাব HYDRAULICS, এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাব, ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যাটেরিয়ালস ল্যাব, সলিড ল্যাবের যন্ত্রসংক্রান্ত, ল্যাব সমীক্ষা, জিওট্যাকনিক্যাল ল্যাব, ভূ পরিবেশগত ল্যাব (শুধু জন্য স্নাতকোত্তর) এবং কম্পিউটার ল্যাব অন্তর্ভুক্ত।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরী
কুয়েটের শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার জন্য একটি সুবিশাল কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, ১৪ টি বিভাগীয় গ্রন্থাগার এবং ৭ টি হল গ্রন্থাগার রয়েছে। দেশ ও বিদেশের অসংখ্য বই আছে। প্রতিটা বিভাগের প্রয়োজনীয় অধিকাংশ বই এখানে পাওয়া যায়। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে ৩টি বই একমাসের জন্য ধার নিতে পারে। এছাড়া এখানে বসে পড়ার জন্য খুবই সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে। এখন কুয়েটের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার অটোমেশন (স্বয়ংক্রিয়) পদ্ধতির আওতায় চলে গেছে,যা বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম। তাই এখন অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে প্রয়োজনীয় বইয়ের তথ্য পাওয়া যায় এবং যেসব বই শিক্ষার্থীরা তুলেছে সেগুলোর পুনরায় ইস্যু করা যায়।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় ।এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য অনলাইনে www.kuet.ac.bd/admission এই ওয়েবসাইটে ঢুকে আবেদন করা যায়।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক হলসমূহ
কুয়েট এ আবাসিক হল ক্যাম্পাস জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। সাতটি আবাসিক হল (১টি মহিলাদের, ৬টি পুরুষদের) আছে। একটি হলের প্রশাসনিক প্রধান তার প্রভোস্ট এবং সহকারী প্রভোস্ট। সাধারণত হল একটি একক প্রভোস্ট এবং এক বা একাধিক সহকারী প্রভোস্ট রয়েছেন। হলগুলো সাধারণত জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং ঐতিহাসিক বিষয়ে নামকরণ করা হয়েছে।
নাম |
আসন সংখ্যা |
স্থাপিত |
১.ফজলুল হক হল (প্রথম হল) | ১৭৫ টি | ১৯৭৪ |
২.খান জাহান আলী হল | ৩০০ টি | ১৯৭৭ |
৩.ড. এম. এ. রশিদ হল | ১৭৫ টি | ১৯৮৪ |
৪.লালন শাহ হল | ৩০০ টি | ১৯৭৫ |
৫.রোকেয়া হল (মহিলা হল) | ৪০০ টি | ২০০০ |
৬.অমর একুশে হল | ৫৫০ টি | ২০০৬ |
৭.বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল | ৫৫০ টি | ২০১৩ |
ছাত্র সংগঠন সমূহ
রাজনৈতিক:
- বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির
- বাংলাদেশ ছাত্রলীগ
- বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা
- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল
সাংস্কৃতিক সংগঠন:
উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক সংগঠনের মধ্যে রয়েছে
- কুয়েট থিয়েটার
- অ-আবৃত্তি সংগঠন
- ধ্রূপদী
- কুয়েট ফটোগ্রাফিক সোসাইটি
- কুয়েট ডিবেটিং সোসাইটি
- কুয়েট ক্যারিয়ার ক্লাব
- স্পেক্ট্রাম
- প্রতিধ্বনি
ডি ইঞ্জিনিয়ার্স নিউজ এর পোর্টালে ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সকল আপডেট সবার আগে পেতে আমাদের নিউজ পোর্টাল ভিজিট করুন এবং ফেসবুক পেজে লাইক/ফলো দিয়ে রাখুন।