ইন্টারনেট কি ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা অসুবিধা।বর্তমানে ইন্টারনেট আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কাজ কর্মকে অনেক সহজ করে তুলেছে এমনকি প্রতিনিয়ত আরো সহজ করে দিচ্ছে। সবথেকে বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করে ইউনাইটেড স্টেটস, ইন্ডিয়া এবং চায়নার। এছাড়াও অন্যান্য দেশ-বিদেশ গুলোতেও ইন্টারনেট ব্যবহার খুব তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ব্যবহারে সারা বিশ্বের ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং প্রজন্মের অনেক অগ্রগতি হতেই আছে। ইন্টারনেটের অসামান্য অবদানের কারণে আজ সারা পৃথিবী একটি পরিবারের মতো হয়েছে। কিন্তু আমরা কি জানি ইন্টারনেট কী? কার মাধ্যমে ইন্টারনেট আমাদের কাছে এসেছে? তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ইন্টারনেট সর্ম্পকিত বিস্তারিত অজানা তথ্য। যেমন- ইন্টারনেট কি, কাকে বলে, কত প্রকার ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা অসুবিধা, অগ্রগতি আবিস্কার ইত্যাদি।
ইন্টারনেট কি ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা অসুবিধা
ইন্টারনেট কি
ইন্টারনেট দুটি কথার সমন্বয় যুক্ত একটি ইংরেজি শব্দ। মূলত ইথারনেট (Ethernet) থেকে ইন্টারনেট (internet) শব্দটির উৎপত্তি। ইন্টার (Enter) অর্থ হলো- ভিতরে। আর নেট (Net) অর্থ হলো- জাল। ইন্টারনেট শব্দের অর্থ “অন্তর্জাল”। যা সংযুক্ত নেটওয়ার্ক তরঙ্গের মাধ্যমে যোগাযোগের একটি সহজ পদ্ধতিকে বোঝায়। যেমন- অসংখ্য কম্পিউটার কে একেওপরের সাথে যুক্ত করে তথ্য আদান প্রদান করার পদ্ধতিকে ইন্টারনেট বলা হয়। ইন্টারনেট হলো পৃথিবীজুড়ে বিস্তৃত অসংখ্য নেটওয়ার্কের সমম্বয়ে গঠিত একটি বিরাট নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা। অনেক গুলো কম্পিউটার একটি নেটওয়ার্কে যুক্ত করাই ইন্টারনেট, যাকে ইন্টারনেট ওয়ার্কিংও বলা হয়।
ইন্টারনেট কত প্রকার ও কি কি
আধুনিক ইন্টারনেট প্রথমত ৬ প্রকার। এই ছয় ধরণের প্রযুক্তি সিস্টেমে ইন্টারনেট সংযোগ কাজ করে। আজ পর্যন্ত যে ধরণের ইন্টানেট আমরা ব্যবহার করি নিচে তার নাম উল্লেখ করলাম যা আপনারা হয়ত অনেকই আইসিটি বিভাগে আগেই জেনেছেন।
* ডায়াল-আপ ইন্টারনেট
* ডিএসএল ইন্টারনেট
* স্যাটেলাইট ইন্টারনেট
*ক্যাবল ইন্টারনেট
* ওয়ারলেস ইন্টারনেট
* সেলুলার ইন্টারনেট
ইন্টারনেটের আবিষ্কার
ভিনটন জি কার্ফ হলো ইন্টারনেটের জনক। প্রথম ইন্টারনেট এর সূচনা হয়েছিল ১৯৬০ সালে আরপানেট (এ্যাডভান্স রিসার্চ প্রজেক্ট এজেন্সি নেটওয়ার্ক) এর হাত ধরে। এটি মূলত আমেরিকান ডিফেন্সের নিজেদের মধ্যে আভ্যন্তরীণ ও একটি নেটওয়ার্ক ছিল। ১৯৬৯ সালের ২৯ অক্টোবর আরপানেট প্রথম ইন্টারনেটে একটি নোড থেকে অন্য একটি নোড এ ম্যাসেজ পাঠায়। ইন্টারনেট এর সাথে সম্পর্ক যুক্ত প্রশ্ন উওর্ গুলো গুরুত্বপূর্ণ।
ইন্টারনেট কাকে বলে
অসংখ্য কম্পিউটার বা স্মার্ট ডিভাইসকে একেওপরের সাথে যুক্ত করে তথ্য আদান প্রদান করার পদ্ধতিকে ইন্টারনেট বলা হয়। ইন্টারনেট হলো আধুনিক টেলিযোগাযোগের একটি নেটওয়ার্ক বা মাধ্যম। যা অপটিক্যাল ফাইবার, টেলিফোন লাইনের তার, ওয়্যারলেস বেতার সংযোগ ব্যবহার করে কম্পিউটার মোবাইল সহ অন্যান্য সকল ডিভাইসকে ওয়াল্ড ওয়াইড ওয়েব (WWW) এর সাথে সংযুক্ত করে। ইন্টারনেটকে প্রায়ই নেট বলা হয়ে থাকে। যখন সম্পূর্ণ আইপি নেটওয়ার্কের আন্তর্জাতিক সিস্টেমকে উল্লেখ করা হয় তখন ইন্টারনেট শব্দটিকে একটি নামবাচক বিশেষ্য মনে করা হয়। ইন্টারনেট এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব দৈনন্দিন কোন পার্থক্য ছাড়া ব্যবহৃত হয়। তবে ইন্টারনেট এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব একই নয়।
ইন্টারনেট কি ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা অসুবিধা
ইন্টারনেট আবিস্কারক
প্রশ্নঃ ইন্টারনেটের জনক কে ?
উত্তরঃ ভিনটন জি কার্ফ ।
প্রশ্নঃ WWW এর অর্থ কি ?
উত্তরঃ World Wide Web.
প্রশ্নঃ WWW এর জনক কে ?
প্রশ্নঃ ইন্টারনেট সার্চ ইঞ্জিনেরজনক কে?
উত্তরঃ এলান এমটাজ ।
উত্তরঃ টিম বার্নাস লি ।
প্রশ্নঃ ই-মেইল এর জনক কে ?
উত্তরঃ রে টমলি সন।
প্রশ্নঃ কম্পিউটারের জনক কে ?
উওরঃ স্যার চার্লস ব্যাবেজ।
মোবাইল ফোনের জনক কে?
উওরঃ মারটিন কোপার
ইন্টারনেট এর জনক কে?
ইন্টারনেট আমাদের জীবনে চলার গতিপথকে পাল্টে দিয়েছে, আমাদের জীবনকে কর্মচঞ্চল ও সহজ করে তুলেছে। দৈনন্দিন জীবনে চলার ক্ষেত্র ইন্টারনেটের অবদানের কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। ইন্টারনেটে এর উপকারের কথা আমরা সবাই জানি যা বলে শেষ করা যাবে না। কিন্তু আমরা কি জানি কে এই ইন্টারনেট আবিষ্কারক যা আমাদের জীবনের গতিপথকে পালটে দিয়েছে? যাকে আমরা ইন্টানেটের জনক হিসাবে চিনি তার নাম হলো ভিনটন জি কার্ফ তবে এই বিশাল নেটওয়ার্ক এর অন্তর্জাল ইন্টারনেট একদিনে তৈরী হয়নি, লক্ষ লক্ষ মানুষ রাত দিন কাজ করে ইন্টারনেটর বর্ত
শিক্ষায় ইন্টারনেটের ব্যবহার
বর্তমানে যেকোন দেশের শিক্ষার আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বর্তমানে শিক্ষাভিত্তিক অনেক ওয়েবসাইট খোলা হয়েছে, প্রতিনিয়ত হচ্ছে ফলে সাইটগুলো ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা বিভিন্নভাবে উপকৃত হচ্ছে। ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হলে প্রথমে একটি কম্পিউটার বা স্মার্ট ডিভাইস দরকার। ইদানীং মোবাইল টেলিফোন প্রযুক্তিতে অনেক উন্নতি হয়েছে। এখন শিক্ষণীয় অনেক বিষয় ইন্টারনেটে পাওয়া যায়। কোনো শিক্ষার্থী পড়ালেখায় কোনো একটা বিষয় বুঝতে না পারলে সে যদি ইন্টারনেটে সেটি অনুসন্ধান করে সঙ্গে সঙ্গেই সেটা পেয়ে যাচ্ছে।
শিক্ষায় ইন্টারনেট ব্যবহারের গুরুত্ব
প্রাথমিক শিক্ষায় ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়েছে, কোন ছাত্র যদি কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে শিখতে চায়, জানতে চায় সে ইন্টারনেটে তা খুঁজে নিতে পারে। এ জন্য বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনের পাশাপাশি অত্যন্ত দক্ষ সার্চ ইঞ্জিনও তথ্য প্রযুক্তিবিদরা তৈরি করেছেন। তবে এ সার্চ ইঞ্জিনগুলো ব্যবহার করার জন্য ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। গণিতের অত্যন্ত চমৎকার কিছু সাইট রয়েছে, যেখানে গণিতের যে কোনো প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়া যায়। বিজ্ঞানের পরীক্ষা-নিরীক্ষা হাতে-কলমে দেখার জন্যও সাইট রয়েছে। উৎসাহী মানুষরা নানা বিষয়ে গ্রুপ তৈরি করে রেখেছেন, তাদের কাছে যে কোনো প্রশ্ন দেওয়া হলে তারা উত্তর দিতে পারবেন।
শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের গুরুত্ব ব্যাখ্যা
বাংলায় শিক্ষা দেওয়ার জন্যও ইন্টারনেটে অত্যন্ত চমৎকার কিছু সাইট রয়েছে। শিক্ষার সঙ্গে ইন্টারনেট শব্দটি জুড়ে দিলেও মনে রাখতে হবে, কেউ যেন মনে না করে ভালো ইন্টারনেট সংযোগ বা ইন্টানেটে খুব ভালো কনটেন্ট থাকলেই রাতারাতি শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় খুব ভালো হয়ে যাবে। বাংলাদেশের আধুনিক শিক্ষার একটি তাৎপর্যপূর্ণ অংশ হলো অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির আবেদনসহ যাবতীয় কাজ ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা হয়। তা ছাড়া বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়ে থাকে
ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা
যেকোন তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা রয়েছে । নিচে শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহারের সুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:
১.তথ্যের সহজলভ্যতা:
ইন্টারনেটের সাহায্যে কম পরিশ্রমে সহজে যেকোন তথ্য বিস্তারিত যাবতীয় জেনে নেওয়া যায়। ইন্টানেট ছাড়া আর অন্য কোনো মাধ্যম থেকে এতসহজে তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব নয় ।
২. বিনামূল্যে তথ্য সংগ্রহ:
বিভিন্ন বইপত্র কিনে লাইব্রেরী বা গবেষণাগারে নিয়মিত যাতায়াত করে ইতিহাসের তথ্য সংগ্রহ করা বিপুল অর্থব্যয় ও সময় সাপেক্ষ। হয়ে থাকে যা ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত অনেক কম। খুব সামান্য অর্থ ও সময় ব্যয় করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব।
৩. দুর্লভ তথ্যপ্রাপ্তি:
ইন্টারনেটের মাধ্যমে নানা ধরনের অনলাইন লাইব্রেরী থেকে ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ দুর্লভ তথ্য যুক্ত সকল বইয়ের কপি, অনলাইন আর্কাইভ থেকে আসল রিপোর্টের কপি প্রভৃতি বই পিডিএফ আকারে সংগ্রহ করে ডিজিটাল বই হিসাবে সংগ্রহ করে পড়া যায়।
৪. সকল প্রশ্নোত্তর:
যেকোন কাজের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে আপনার মনে কোন প্রশ্ন জাগলে অনেক সময় ইন্টারনেটে সেই প্রশ্ন লিখে সার্চ করলেও সরাসরি উত্তর পাওয়া যায়। যা আমাদের সময় এবং সাশ্রয় করে থাকে। এখন আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে ইন্টানেটে সার্চ করে দেখতে পারেন।
ইন্টারনেট ব্যবহারের অসুবিধা:
ইন্টারনেটের প্রবর্তন বিজ্ঞানের এক বিস্ময়কর আবিষ্কার। এটি ব্যবহার করে যেমন সুবিধা ভোগ করি তেমনী অনেক অসুবিধা রয়েছে যেগুলো আমাদের বাছাই করে সিদ্ধান্ত নিতে ও ব্যবহার করতে হবে। যেমন—
১. নির্ভরযোগ্যতা:
ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত তথ্যগুলির যথার্থতা বা নির্ভরযোগ্যতা যাচাই করা খুবই কঠিন। একই বিষয়ে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পৃথক পৃথক তথ্য থাকায় পাঠক বা গবেষকদের বিভ্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
২. মনগড়া তথ্য:
মুদ্রিত বইপত্রে যথার্থ লেখকদের সংখ্যাই বেশি। কিন্তু ইন্টারনেটে আজকাল যে কেউ নিজের মনগড়া ভুল তথ্য আপলোড করতে পারে বা করে থাকে ।
৩. গবেষণার মান হ্রাস:
ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন অসত্য বা অর্ধসত্য তথ্য ব্যবহার করতে গিয়ে পাঠক ও গবেষকগণ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে ফলে গবেষণার গুণগত মান কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
৪. তথ্যের অসম্পূর্ণতা:
বহু ক্ষেত্রে ইন্টারনেটে বই বা গবেষণার অংশবিশেষ পাওয়া যায়। এর পূর্ণাঙ্গ কাজটি পাওয়া না যাও য়ায় পাঠক ও গবেষকগণ নানা সমস্যার সম্মুখীন হন।
ইন্টারনেট এর উপকারিতা ও অপকারিতা
ইন্টারনেট এর উপকারিতা
দ্রুত যোগাযোগ করা
সহজে তথ্যের আদান-প্রদান
অনলাইনে কেনাকাটা
সেস্যাল নেটওয়ার্কি
সর্বশেষ খবরাখবর।
ইন্টারনেট এর অপকারিতা
স্বাস্থের ক্ষতি
অলসতা বৃদ্ধি
মেধা শূন্যতা
অশ্লিলতা বৃদ্ধি
শিশুদের ক্রাইম
শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার
অনলাইনে শিক্ষা দান।
ভিডিও ক্লাস লাইভ ক্লাস।
অজানা বিষয়ে পরিপূর্ণজ্ঞান অর্জন।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে জ্ঞান অর্জন।
সৃজনশীলতা বৃদ্ধি হওয়া।
ইন্টারনেট যেসকল লাগাতে পারি
ই-লানিং বা অনলাইনে পড়াশোনার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট অনেক কাজে লাগাতে পারি।
অফিশিয়াল কাজ ভার্চুয়ালি ঘরে বসে করার জন্য ইন্টারনেট অনেক প্রয়োজনীয়।
গবেষণা মূলক তথ্য খুঁজতে নতুন গবেষণার ফলাফল জানতে ইন্টারনেট কাজে লাগাতে পারি।
ই-কমার্স বা অনলাইনে ব্যবসা করতে বা ব্যবসার প্রসার করতে ইন্টারনেটর ব্যবহার করতে পারি।
বর্হিবিশ্বের সাথে যোগাযোগ করতে বা সু-সম্পার্ক অটুট রাখতে ইন্টানেটর প্রয়োজন।
ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইনে আয় করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্বব।
ইন্টারনেটর মাধ্যমে ঘরে বসে কেনাকাট করা বা ডাক্তারি পরমর্শ নেওয়া যায়।
প্রতিনিয়ত নতুন কিছু শিখতে চাইলে ইন্টারনেট অনেক প্রয়োজন হয়ে পড়ে।
ডি ইঞ্জিনিয়ার্স নিউজ এর পোর্টালে ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সকল আপডেট সবার আগে পেতে আমাদের নিউজ পোর্টাল ভিজিট করুন এবং ফেসবুক পেজে লাইক/ফলো দিয়ে রাখুন।