ক্যাপাসিটর বেশি এনার্জি মজুদ রাখতে পারে কোন ধরনের কানেকশনে ?। উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এখন সবাই অনলাইনের মাধ্যমে কিছু শেখার জন্য চেষ্টা করে। বর্তমানে প্রায় সবার হাতেই একটা করে স্মার্টফোন রয়েছে,যার মাধ্যমে ঘরে বসে অনেক কিছু সম্পর্কে জানতে পারে। সবাই যেন ঘরে বসে ভালো কিছু শিখতে পারে ,এজন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন এবং প্রশ্নের উত্তর এবং বিভিন্ন প্রকার নিউজ দিয়ে থাকি। আজকে ক্যাপাসিটর বেশি এনার্জি মজুদ রাখতে পারে কোন ধরনের কানেকশনে এটি নিয়ে আলোচনা করব । ক্যাপাসিটর ইলেকট্রিক্যাল জগতে নতুন কোন শব্দ নয়।
ক্যাপাসিটর বেশি এনার্জি মজুদ রাখতে পারে কোন ধরনের কানেকশনে ?
আমরা সকলেই ডিভাইসটির সাথে পরিচিত। ক্যাপাসিটরকে আমরা সবাই এনার্জি মজুদের কারখানা হিসেবেই জানি। কিন্তু সবার ই একটা প্রশ্ন থাকে যে, ক্যাপাসিটর বেশি এনার্জি মজুদ রাখতে পারে কোন ধরনের কানেকশনে ? ক্যাপাসিটর সাধারনত সিরিজ কানেকশন এবং প্যারালাল কানেকশন এ হয়ে থাকে ,
ক্যাপাসিটর কি?
ক্যাপাসিটর মূলত বৈদ্যুতিক চার্জ সঞ্চয়ক যন্ত্র বিশেষ বা বৈদ্যূতিক প্যসিভ ডিভাইস যা চার্জ সংরক্ষণ করতে পারে।এর বাংলা অর্থ “ধারক” অর্থাৎ যে বৈদ্যুতিক চার্জ ধারণ করে। এবং দুটি পরিবাহী প্লেটের মাঝে অপরিবাহী পদার্থ (Dielectric) রেখে প্লেট দ্বয়কে পৃথক করলে যে ডিভাইস তৈরী হয় তাকে ক্যাপাসিটর বলে।
দুটি কনডাকটরের মধ্যবর্তী স্থানে কোন ইনসুলেটর পদার্থ যেমন- বায়ু , কাচ ,প্লাস্টিক ইত্যাদি স্থাপন করে ক্যাপাসিটর তৈরি করা হয়। এর মাঝের ইনসুলেটর পদার্থ ডাই-ইলেকট্রিক। কোন কনডাকটরের বিভব প্রতি একক বাড়াতে যে পরিমাণ চার্জের প্রয়োজন হয় তা ঐ পরিবাহকের ক্যাপাসিটেন্স। ক্যাপাসিটেন্সকে C দিয়ে প্রকাশ করা হয়। এর একক ফ্যারাড(F)।
এক ফ্যারাড অনেক বড়, প্রায় 6,280,000,000,000,000,000 ইলেকট্রনের সমান। তাই ব্যাবহারীক ক্ষেত্রে মাইক্রো ফ্যারাড (uF) এবং পিকো ফ্যারাড (pF) ব্যাবহার করা হয়।
এক মাইক্রো ফ্যারাড সমান 0.000,001 ফ্যারাড এবং এক পিকো ফ্যারাড সমান 0.000,000,000,001 ফ্যারাড।কোন কনডাকটরের ভোল্টেজ V পরিমান বাড়াতে যদি Q পরিমাণ চার্জের প্রয়োজন হয় তবে, ভোল্টেজ (V) একক পরিমাণ বাড়াতে Q/V পরিমাণ চার্জের প্রয়োজন হবে।C=QV
ক্যাপাসিটর বেশি এনার্জি মজুদ রাখতে পারে :
ক্যাপাসিটরে এক জোড়া মেটাল প্লেট থাকে যার মধ্যবর্তী স্থানে ইন্সুলেটিং ম্যাটেরিয়াল থাকে। এতে ব্যাটারি থেকে প্রাপ্ত চার্জ মজুদ থাকে। ক্যাপাসিটরের অভ্যন্তরে সঞ্চিত শক্তিকে আমরা নিম্নলিখিত উপায়ে প্রকাশ করতে পারি।

সুতরাং, সমীরণ থেকে আমরা বুঝতে পারছি যে, ক্যাপাসিটরের অভ্যন্তরীণ এনার্জি স্টোরেজের পরিমাণ ক্যাপাসিটরের ক্যাপাসিট্যান্স এবং এপ্লাই করা ভোল্টেজের উপর নির্ভর করে। এবার সিরিজ এবং প্যারালাল কানেকশনে মোট ক্যাপাসিট্যান্সের পরিমাণ কেমন হবে তা দেওয়া হলো:
যদি ক্যাপাসিটরের ক্যাপাসিট্যান্স C1, C2, C3, C4 হয় তাহলে প্যারালাল কানেকশনে মোট ক্যাপাসিট্যান্স হবে,
এবার, ধরে নিলাম C1=C2=C3=C4= 4 মাইক্রোফ্যারাড। তাহলে উপরোক্ত সূত্রগুলোতে 4 মাইক্রোফ্যারাডের মান বসিয়ে মোট ক্যাপাসিট্যান্স নির্ণয় করে দেখা যাক।
এখন, যদি ক্যাপাসিটরগুলোকে প্যারালালে সংযুক্ত করা হয়, তাহলে মোট ক্যাপাসিট্যান্স দাঁড়ায়,
যদি ক্যাপাসিটরগুলোকে সিরিজে সংযুক্ত করা হয় তাহলে মোট ক্যাপাসিট্যান্স দাঁড়ায়,
উপরের গাণিতিক বিশ্লেষণ করে পাওয়া যায়, চারটি ক্যাপাসিটরকে প্যারালাল কানেকশন দিলে তারা সর্বোচ্চ এনার্জি পাওয়া যাবে।
ডি ইঞ্জিনিয়ার্স নিউজ এর পোর্টালে ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সকল আপডেট সবার আগে পেতে আমাদের নিউজ পোর্টাল ভিজিট করুন এবং ফেসবুক পেজে লাইক/ফলো দিয়ে রাখুন।