নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-(নোবিপ্রবি)হচ্ছে বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলায় অবস্থিত একটি সরকারী উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নোয়াখালী জেলার সোনাপুরে ১০১ একর জায়গা ওপর বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত।এটি বাংলাদেশের ২৭ তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৫ম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; যার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে ২০০৬ সালে।
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-(নোবিপ্রবি)
ধরনঃ | সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় |
স্থাপিতঃ | ২০০৬ |
শিক্ষার্থী: | ৪৫০০ জন |
আচার্য: | রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ |
উপাচার্য : | অধ্যাপক মো. দিদার-উল-আলম |
অবস্থানঃ | নোয়াখালী |
শিক্ষাঙ্গনঃ | শহুরে |
অধিভুক্তি: | বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন |
সংক্ষিপ্ত নাম: | NSTU (নোবিপ্রবি) |
ওয়েবসাইটঃ | nstu.edu.bd |
নোবিপ্রবি এর ইতিহাস
১৯৯৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে বাংলাদেশের ১২টি জেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তার ধারাবাহিকতায় ২০০১ সালে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন পাশ হয়। ২০০৩ সালের ২৫ আগস্ট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট-২০০১ কার্যকর হয়। ২০০৩ সালের অক্টোবরে তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন। এ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে জনাব ওবায়দুল কাদের ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ২০০৫ সালের ২৪ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২৩ জুন ২০০৬ ইং প্রথম একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুতে এই বিশ্ববিদ্যালয় ৪টি বিভাগ নিয়ে এর কার্যক্রম আরম্ভ করে। এগুলো হলো: কম্পিউটার বিজ্ঞান ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশল, মৎস্য ও সামুদ্রিক বিজ্ঞান, ফার্মেসী, ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল। বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫ টি বিভাগ চালু আছে।প্রতিবছর ১৫ জুলাই দিনটিকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
অবস্থান
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নোয়াখালী জেলা শহর থেকে আট কিলোমিটার দক্ষিণে সোনাপুর-সুবর্ণচর সড়কের পশ্চিম পাশে একশ এক একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত।
বিস্তারিত দেখুন গুগল ম্যাপে
যোগাযোগের ঠিকানা হল-
- নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
- নোয়াখালী
- ওয়েবসাইট : nstu.edu.bd
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অনুষদ এবং বিভাগ সমূহ
বিজ্ঞান অনুষদ
- মৎস্য ও সামুদ্রিক বিজ্ঞান বিভাগ
- সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগ
- ফার্মেসী বিভাগ
- কৃষি বিভাগ
- অণুজীববিজ্ঞান বিভাগ
- জৈব প্রযুক্তি ও জিন প্রকৌশল (বিজিই) বিভাগ
- ফলিত গণিত বিভাগ
- খাদ্য প্রযুক্তি ও পুষ্টি বিজ্ঞান (এফটিএনএস) বিভাগ
- পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা (ইএসডিএম) বিভাগ
- প্রাণরসায়ন বিভাগ
- পরিসংখ্যান বিভাগ
- জীববিজ্ঞান বিভাগ
প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ | সামাজিক বিজ্ঞান ও মানবিক অনুষদ | ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ | শিক্ষা অনুষদ | আইন অনুষদ |
১.কম্পিউটার বিজ্ঞান ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশল বিভাগ | ১.ইংরেজি বিভাগ | ১.ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ | ১.শিক্ষা বিভাগ | ১.আইন বিভাগ |
২.তথ্য ও যোগাযোগ প্রকৌশল বিভাগ | ২.অর্থনীতি বিভাগ | ২.ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট (টিএইচএম) বিভাগ | ২.শিক্ষা প্রসাশন বিভাগ | |
৩.তড়িৎ ও তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগ | ৩.বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ (বিএমএস) বিভাগ | ৩.ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস (এমআইএস) বিভাগ | ||
৪.ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগ | ৪.বাংলা বিভাগ | |||
৫.সমাজবিজ্ঞান বিভাগ | ||||
৬.সমাজকর্ম বিভাগ |
নোবিপ্রবি এর ইনস্টিটিউট সমূহ
তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট
- সফটওয়্যার প্রকৌশল বিভাগ
তথ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট
- তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগ
নোবিপ্রবি এর সহশিক্ষা কার্যক্রম
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রসিদ্ধ ক্লাব যেমনঃ ছায়া জাতিসংঘ, ডিবেটিং সোসাইটি, শব্দকুটির, বিএমএস ক্যারিয়ার ক্লাব, ধ্রুবপদ, এডভেঞ্চার ক্লাব, সমকাল সুহৃদ সংঘ, সাংবাদিক সমিতি ইত্যাদি।
নোবিপ্রবি এর আবাসিক হলসমূহ
- ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হল
- হযরত বিবি খাদিজা হল
- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল
- বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক স্পিকার আবদুল মালেক উকিল হল
- বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল
নোবিপ্রবি এর গবেষণা এবং অবকাঠামো
বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তামানে বেশ কিছু গবেষণা প্রকল্প চলামান এবং ভবিষ্যতে “শেখ হাসিনা সমুদ্র গবেষণা কেন্দ্র” স্থাপন করা হবে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে যার আয়তন হবে প্রায় ৫০০ একর। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন হচ্ছে, যা লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ রুপ পাবে ২০৪১ সালে। ভবিষ্যতে পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন, ভৌত বিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণা ও পড়াশোনা, ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজ, উদ্ভিদ ও সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণাগার, জিমনেসিয়াম এবং ক্রীড়া বিজ্ঞান যুক্ত করা হবে। আগামী দশ বছরের ভেতরে একে পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্বিবদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে এবং বিদেশি শিক্ষার্থী ও গবেষকদের আবাসন নির্মাণের একটি প্রকল্প বিবেচনাধীন। ২০৪১ সালের পূর্ণাঙ্গ রুপরেখা ২০১৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে প্রকাশ করা হয় যেখান বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানের এবং যুগোপযোগী করার পদক্ষেপ দেখানো হয়েছে।
ডি ইঞ্জিনিয়ার্স নিউজ এর পোর্টালে ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সকল আপডেট সবার আগে পেতে আমাদের নিউজ পোর্টাল ভিজিট করুন এবং ফেসবুক পেজে লাইক/ফলো দিয়ে রাখুন।